৩ মুখী রুদ্রাক্ষ — স্বরূপ, মহিমা ও উপকারীতা বর্ণনা
তিনমুখী রুদ্রাক্ষ
⭐⭐⭐⭐⭐
তিনমুখী রুদ্রাক্ষ অর্ডার করুন (Available Only in India)
আমাদের শৈব পরম্পরার থেকে সবচেয়ে উচ্চ গুণমানের রুদ্রাক্ষ অর্ডার করে নেবার জন্য নিচের নির্দেশনা অনুসরণ করুন ।
নেপালে উৎপন্ন Certified
তিন মুখী রুদ্রাক্ষ (১টি বীজ) — ১,০৯৯ /- টাকা মাত্র।
[একবার অর্ডার করে ১টি রুদ্রাক্ষ পাবেন, অধিক নেবার জন্য পুনরায় অর্ডার করতে হবে]
রুদ্রাক্ষ কিনুন 👇 এইখানে ক্লিক করে
_______________________________________________
॥ ॐ নমঃ শিবায় ॥
ভূমিকা ঃ
রুদ্রাক্ষ - এই শব্দ টি উচ্চারণ করবার সাথে সাথে বোঝা যায়, এই শব্দের সাথে পরমেশ্বর শিবের সম্পর্ক রয়েছে, আর যখন পরমেশ্বর শিবের সম্পর্কে কোনো কথা ওঠে তখন একমাত্র শৈব শাস্ত্রের দ্বারাই সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব, তাই এইখানে সর্ব প্রথম শৈব শাস্ত্রে দেওয়া নির্দেশ উল্লেখ করছি, শৈব আগম শাস্ত্র 'চন্দ্রজ্ঞান আগমের ক্রিয়াপাদের সপ্তম পটলের ২৭ নং মহামন্ত্র অনুসারে, ৩ মুখী রুদ্রাক্ষ হল — অগ্নিদেবের প্রতীক রূপ ।
আর শিবমহাপুরাণের বিদ্যেশ্বর সংহিতার ২৫ নং অধ্যায়ের মধ্যে — ৩ মুখী রুদ্রাক্ষ হল -- ইহা সাক্ষাৎ অগ্নি স্বরূপ বলে ঘোষণা করা হয়েছে ।
৩ মুখী রুদ্রাক্ষের স্বরূপ নির্ণয়
তিনমুখী রুদ্রাক্ষের তিনটি স্বাভাবিক রেখা থাকে। এটি স্বয়ং অগ্নির প্রতীক, তাই এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অগ্নিদেব সন্তুষ্ট হন। । মঙ্গল গ্রহ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এই তিন মুখী রুদ্রাক্ষ । অগ্নি যেহেতু সকল কিছু শুদ্ধ করে দেয় তাই তিন মুখী রুদ্রাক্ষ অতীতে করা পাপ থেকে মানুষ কে শুদ্ধ করে দেয়, এতে সেই মানুষ নিজের অতীত জীবনের শত পাপ থেকে মুক্ত হয়ে শুদ্ধ ও পবিত্র জীবনযাপন করেন ও সকল কামনা পূরণ করে থাকেন। তিন প্রকারের অগ্নির স্বরূপ এটি, যথা - দক্ষিণাগ্নি, গার্হপত্য ও আহবনীয়। এই রুদ্রাক্ষ ধারণকারী ব্যক্তিকে রোগের হাত থেকে মুক্ত করে থাকে। প্রকৃত তিনমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণে মানুষের মধ্য থেকে নেতিবাচক চিন্তাধারা থেকে মুক্ত করে ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তোলে। এছাড়া আরও বহু উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে । এই রুদ্রাক্ষটি বিশেষ করে তাঁদেরই জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা সবসময় হীনমন্যতায় ভোগেন বা মানসিক যন্ত্রণার শিকার ইত্যাদি। এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করার পর ধারণকারী প্রত্যেক কাজে সাফল্যের মুখ দেখেন। ধারণকারীকে ক্রমিক জ্বর এর হাত থেকে মুক্তি দেয়, যাঁদের ঘন ঘন (তিনদিন পর পর) জ্বর আসে তাঁদের পক্ষেও খুবই উপকারী। এর মধ্যে আছে- ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের (ত্রিদেবের) সত্ত্বঃ, রজঃ ও তমঃ গুণের সমাহার। এটিতে স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল স্থিত । এই রুদ্রাক্ষটির স্বর্গীয় ক্ষমতার জন্য একে পবিত্র, ক্ষমতাসম্পন্ন ও সবচেয়ে ভালো বলা হয়। তাছাড়া রুদ্রাক্ষে তো পরমেশ্বর শিবের কৃপা অবশ্যই বিদ্যমান থাকেই ।
৩ মুখী রুদ্রাক্ষের কর্তা ঃ অগ্নি
৩ মুখী রুদ্রাক্ষের গ্রহ ঃ মঙ্গল (Mars)
৩ মুখী রুদ্রাক্ষের চক্র ঃ মণিপুর চক্র (Plexus Chakra)
তিন মুখী রুদ্রাক্ষ দর্শন কেমন হয় ?
তিন মুখী রুদ্রাক্ষে প্রাকৃতিক উপায়ে তিনটি রেখা থাকে, এই রেখা কে মুখ বলা হয়।
এখানে বলে রাখা ভাল নেপালের ত্রিমুখী রুদ্রাক্ষ দেরাদুন-হরিদ্বারের ত্রিমুখীর চেয়ে ভাল ও বেশি কার্যকরী। ইন্দোনেশিয়ার ত্রিমুখী নেপালের ত্রিমুখীর চেয়ে কম কার্যকরী। সুতরাং রুদ্রাক্ষ ধারণ করার আগে এই কথাগুলি মনে রাখতে হবে।
তিন মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে কি উপকার পাওয়া যায় ?
উত্তর - এই রুদ্রাক্ষ কর্মক্ষেত্রে সিদ্ধি বা সাফল্য আনে। সাধনায় অনুকূল ফল দেয়। যদি কোনো শিশু ঘন ঘন জ্বরে ভোগে অথবা খুব দুর্বল হয়ে যায়, তাহলে তিনমুখী রুদ্রাক্ষ গলায় ধারণ করলে তার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এই রুদ্রাক্ষ ধারণের ফলে স্ত্রী হত্যাজনিত পাপ থেকেও মুক্ত হওয়া যায়। ৬ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য ১টি তিনমুখী রুদ্রাক্ষই যথেষ্ট। তাছাড়া এই রুদ্রাক্ষ ধারণকারী নিজ অন্তর থেকে শুদ্ধ হন। সব অতীতের পাপ দূর হয়ে যায়। ধারণ করার পর মানসিক চাপ অনেক কমে আসে, শান্তি আনে ও অলসতা দূর করে। জীবনে সফলতা আনে ও আত্মশুদ্ধি করে। সব রোগের উপশম করে।
তিন মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণে কি কি রোগ সারে ?
উত্তর - উচ্চ রক্তচাপ, রক্তাল্পতা, রক্ত সঞ্চালন সমস্যা, চোখের নানা অসুখ, ডায়াবেটিস, জ্বর সারায় এই তিন মুখী রুদ্রাক্ষ। কিডনি, অস্ত্র, বামচক্ষুর সমস্যাতে উপকার করে। পেটের রোগে উপকার পাওয়া যায়, ক্যান্সার, ক্ষত, শোথ, যৌনগন্থির সমস্যায়, ঠাণ্ডা লেগে গেলে। মহিলাদের ঋতু ঘটিত সমস্যা প্রভৃতিতেও। সু-সম্পর্কের প্রতিষ্ঠাতেও এই রুদ্রাক্ষের ভূমিকা থাকে।
কে এই তিন মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারে ?
উত্তর - যাঁরা অবিবাহিত, যাঁরা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন, যাঁরা সুখী হতে চান, আধ্যাত্মিক উন্নতি করতে চান, মোক্ষলাভ করতে আগ্রহী, বা যাঁরা পার্থিব সম্পদ লাভে একান্ত ইচ্ছুক তাঁরা এই রুদ্রাক্ষ ধারণে সুফল পাবেন। যেসব দম্পতির সন্তান হয়নি তাঁরা এই রুদ্রাক্ষ হতে সুফল পেতে পারেন।
জ্যোতিষ বিচারে তিন মুখী রুদ্রাক্ষের মাহাত্ম্য কি ?
উত্তর - আগেই বলা হয়েছে , এই তিনমুখী রুদ্রাক্ষ মঙ্গল গ্রহ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। তাই মঙ্গলের অবস্থানের উপর এর প্রভাব নির্ভর করে। যেমন মঙ্গল যদি নীচস্থ হয় অথবা শনি বা রাহুর সাথে একই ঘরে থাকে অথবা শনি বা মঙ্গল পরস্পরকে দৃষ্টিপাত করে, তবে সেই খারাপ ফল এই রুদ্রাক্ষ ধারণে দূর হয়ে যায়। এই রুদ্রাক্ষ দ্বারা দুর্ঘটনা, রক্তপাত যোগ, ভয়, মানসিক চাপ, আত্মবিস্মৃতি, জমিজমা সংক্রান্ত সমস্যা ইত্যাদি দূর হয়।
তিন মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ বিধি কেমন ?
উত্তর - মন্ত্র- ॐ রং হং হীং হং ॐ। ইতি মন্ত্র।
তিন মুখী রুদ্রাক্ষের বিনিয়োগ
ॐ অস্য শ্রীঅগ্নি মন্ত্রস্য বশিষ্ঠ ঋষিঃ গায়ত্রী ছন্দঃ অগ্নি দেবতা হীং বীজং হূং শক্তি, মম চতুর্বর্গ সিদ্ধ্যর্থয়ে রুদ্রাক্ষ ধারণার্থে জপে বিনিয়োগঃ।
তিন মুখী রুদ্রাক্ষের ঋষ্যাদিন্যাস
ॐ বশিষ্ঠ ঋষয়ে নমঃ (শিরসি)।
ॐ গায়ত্রী ছন্দসে নমঃ (মুখে)।
ॐ অগ্নি দেবতায়ৈ নমঃ (হৃদি)।
ॐ হীং বীজায় নমঃ (গুহ্যে)।
ॐ হূং শক্তয়ে নমঃ (পাদয়ো)।
তিন মুখী রুদ্রাক্ষের করন্যাস
ॐ ওম্ অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ।
ॐ রং তর্জনীভ্যাং স্বাহা।
ॐ ইং মধ্যমাভ্যাং বষট্।
ॐ হীং অনামিকাভ্যাম্ হুং।
ॐ হূং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট্।
ॐ ওম্ করতলপৃষ্ঠাভ্যাং অস্ত্রায় ফট্।
তিন মুখী রুদ্রাক্ষের অঙ্গন্যাস
ॐ ওম্ হৃদয়ায় নমঃ।
ॐ রং শিরসে স্বাহা।
ॐ ইং শিখায়ৈ বষট্।
ॐ হীং কবচায় হূং।
ॐ হং নেত্রত্রয়ায় বৌষট্।
ॐ ওম্ করতলপৃষ্ঠাভ্যাং অস্ত্রায় ফট্।
তিন মুখী রুদ্রাক্ষের ধ্যান
অষ্টশক্তি স্বস্তিকামাতি মুচ্চৈদী দীর্ঘৈরে ভির্ধারয়েত্তং জপানম্।
হেমাকল্পং পদ্মসংস্থং ত্রিনেত্রংধ্যায়েদ্বর্হিম্ বদ্ধমৌলির্জটাভিঃ ॥
এখানে দেখুন 👉 রুদ্রাক্ষ শোধন বিধি
____________________________________________
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন