পরমেশ্বর শিবকে নারী, বিষ্ণুকে পুরুষ — প্রমাণ করবার জন্য আবোলতাবোল যুক্তি ব্যবহারকারী শিবনিন্দুক বৈষ্ণবদের উপর কড়া জবাব
ভূমিকা -
Narayanastra নামে একটি Facebook Page আছে, যাদের উদ্দেশ্য হল ভগবান বিষ্ণুর শ্রেষ্ঠত্বের নামে পরমেশ্বর শিবকে অপমান করা। আমাদের সম্পূর্ণ শাস্ত্রীয় প্রমাণ দিয়ে উপস্থাপন করা “শ্রীবিষ্ণু প্রকৃতিরূপ নারী, পরমেশ্বর শিব একমাত্র পরমপুরুষ” -এই প্রবন্ধ টি দেখেও সত্য স্বীকার করতে না পেরে শ্রেষ্ঠত্বের অহংকার বশত এখন এলোমেলো দাবি করে পরমেশ্বর শিবকে ‘নারী’ প্রমাণ করবার মতো আকাশকুসুম কল্পনাকে নামিয়ে এনেছেন। আসুন এখন এই ভণ্ড বৈষ্ণবদের অর্থহীন দাবিগুলি ভেঙে টুকরো টুকরো করে ফেলা যাক।
____________________________________________________________________________________
🚫 ভণ্ড বৈষ্ণবের দাবী —
"অকারো ব্রহ্মা, উকারো বিষ্ণুঃ, মকার ঈশ্বরঃ।
অকারো নপুংসকঃ, উকারঃ পুংলিঙ্গঃ, মকারঃ স্ত্রীলিঙ্গঃ।"
অগ্নিবেশ্য গৃহসূত্র ২.৪.১২
বাংলা অনুবাদ- "অ' ধ্বনি হল ব্রহ্মা, 'উ' ধ্বনি বিষ্ণু এবং 'ম' ধ্বনি ঈশ্বর (শিব)। অ' ধ্বনি নপুংসক লিঙ্গ 'উ' ধ্বনি পুংলিঙ্গ (পুরুষ) আর 'ম' ধ্বনি স্ত্রীলিঙ্গ নির্দেশ করে।"
বহু শ্রুতিমন্ত্রে পরমেশ্বর শ্রীমন্নারায়ণকেই পরম পুরুষ (সর্বোচ্চ পুরুষ) হিসেবে নির্ণয় করা হয়েছে। যেমন-"অথ পুরুষ হ বৈ নারায়ণঃ কাময়ত... "শ্রুতি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করে -পুরুষ বলতে যে সত্তা বোঝানো হয়েছে, তিনি একমাত্র শ্রীমন্নারায়ণ। অনেক শৈব আচার্য ভিন্ন ভিন্ন অর্থ-প্রয়োগ করে এসব মন্ত্রকে শিবের দিকে টানার চেষ্টা করলেও, বৈষ্ণব আচার্যরা বহু আগেই সেসব ভ্রান্ত ব্যাখ্যার শক্তিশালী খণ্ডন করেছেন। বিশেষত-আচার্য বেদান্তদেশিক প্রণীত "সিদ্ধান্তরত্নাবলী" গ্রন্থে এসব বিষয়ের প্রকৃত ব্যাখ্যা ও শৈব তর্কের সুস্পষ্ট খণ্ডন পাওয়া যায়। অগ্নিবেশ্য গৃহসূত্রও একই সত্য প্রমাণ করে। অগ্নিবেশ্য গৃহসূত্র (২/৪/১২) অনুসারে-'উ'-কার, যা বিষ্ণুর প্রতীক, সেটি পুংলিঙ্গ (পুরুষ)।
'ম'-কার, যা শিবের প্রতীক, সেটি স্ত্রীলিঙ্গ। অর্থাৎ-শাস্ত্রের ভাষায় বিষ্ণু পুরুষ, আর শিব নারী-লিঙ্গাধীন।
____________________________________________________________________________________
🍁বিকৃত অল্পবুদ্ধিযুক্ত বৈষ্ণব প্রাণীর দাবীর খণ্ডন শৈব পক্ষ থেকে —
বৈষ্ণবদের এই পুরো দাবিটাই সংস্কৃত সম্পর্কে বৈষ্ণবদের একেবারে অজ্ঞতাপূর্ণ ভুল বোঝাবুঝি থেকে জন্মেছে। এখানে গ্রন্থ দেবতাদের লিঙ্গ দিচ্ছে না, বরং অক্ষরগুলিকে (অ-উ-ম) ব্যাকরণগত লিঙ্গ দিচ্ছে। যে কেউ যদি এখান থেকে এসে বলে—
“শিব = নারী” তবে তার সংস্কৃত সম্পর্কে জ্ঞানবুদ্ধি হাঁটুর নীচে, যুক্তির স্তরও হাঁটুর নীচে।
চলুন, একটা একটা পদ ধরে এই অল্পবুদ্ধিযুক্ত বৈষ্ণব প্রাণীদের দাবীকে ধ্বংস করি ।
প্রতিকরূপ —
অকারো ব্রহ্মা, উকারো বিষ্ণুঃ, মকার ঈশ্বরঃ।
এতে তো শুধু বলা হয়েছে অ = ব্রহ্মা, উ = বিষ্ণু, ম = ঈশ্বর (শিব)। এটি একটি সাধারণ প্রতীকী তুলনা মাত্র। এখানে কোনো দেবতার লিঙ্গ বদলের মতো সার্কাস হচ্ছে না।
প্রতিকরূপ —
অকারো নপুংসকঃ, উকারঃ পুংলিঙ্গঃ, মকারঃ স্ত্রীলিঙ্গঃ।
আর এগুলো কেবল অক্ষরগুলোর ব্যাকরণিক লিঙ্গ। কেউ যদি এটাকে “শিব নারী” বলে পড়ে, তবে সে ‘ॐ’-কে ইংরেজি বর্ণমালার মতো ধরে নিচ্ছে — যা বুদ্ধির দুঃখজনক অবস্থা।
গৃহ্যসূত্রে অ-উ-ম -এর ওপর হাজার হাজার প্রতীকী ত্রয়ী আরোপ করা হয়েছে, যেমন —
অ = অগ্নি, উ= সূর্য, ম = চন্দ্র
অ = ঋক, উ = যজুঃ, ম = সাম
অ = পৃথিবী, উ = আকাশ, ম = স্বর্গ
অ = অতীত, উ = বর্তমান, ম = ভবিষ্যৎ
♦️ আরো দেখুন, যদি অ-উ-ম এর মধ্যে উ-কার নির্দিষ্ট ভাবে বিষ্ণু হয় আর ম-কার শিব - এমন আক্ষরিক অর্থ হয়ে থাকে তাহলে বেদমন্ত্রে দেখুন অ-উ-ম তিনটিকেই শিবের বলা হয়েছে,
🔺 ত্রিপুণ্ড্রের তিনটি রেখার প্রথম রেখায় অগ্নি, অ-কার, রজোগুণ, পৃথিবী, ঋগ্বেদ, মহেশ্বর ইত্যাদি আছে —
যাস্য প্রথমা রেখা সা গার্হপত্যশ্চাকারো রজোভূর্লোকঃ স্বাত্মা ক্রিয়াশক্তিবৃগ্বেদঃ
প্রাতঃসবনং মহেশ্বরো দেবতেতি ॥ ৭ ॥
[কালাগ্নিরুদ্র উপনিষদ/৭ নং মন্ত্র]
🔸অর্থ — ত্রিপুঞ্জের প্রথম রেখা গার্হপত্য অগ্নিরূপ, 'অ' কার রূপ, রজোগুণরূপ, ভূলোকরূপ, স্বাত্মকরূপ, ক্রিয়াশক্তিরূপ, ঋগ্বেদস্বরূপ, প্রাতঃসবনরূপ তথা মহেশ্বরদেবরূপ ॥ ৭ ॥
🔺 ত্রিপুণ্ড্রের তিনটি রেখার দ্বিতীয় রেখায় দক্ষিণঅগ্নি, উ-কার, সত্বগুণ, অন্তরীক্ষ, যজুর্বেদ, সদাশিব ইত্যাদি আছে —
যাস্য দ্বিতীয়া রেখা সা দক্ষিণাগ্নিরুকারঃ সত্বমন্তরিক্ষমন্তরাত্মা-চেচ্ছাশক্তির্যজুর্বেদো মাধ্যন্দিনং সবনং সদাশিবো দেবতেতি ॥ ৮ ॥
[কালাগ্নিরুদ্র উপনিষদ/৮ নং মন্ত্র]
🔸অর্থ — (ত্রিপুণ্ড্রের) দ্বিতীয় রেখা দক্ষিণাগ্নিরূপ, 'উ' কার রূপ, সত্ত্বরূপ, অন্তরিক্ষরূপ, অন্তরাত্মারূপ, ইচ্ছাশক্তিরূপ, যজুর্বেদরূপ, মাধ্যন্দিন সবনরূপ এবং সদাশিবরূপ ॥ ৮ ॥
🔺 ত্রিপুণ্ড্রের তিনটি রেখার তৃতীয় রেখায় আহবনীয় অগ্নি, ম-কার, তমগুণ, দ্যুলোক, সামবেদ, মহাদেব ইত্যাদি আছে —
যাস্য তৃতীয়া রেখা সাহবনীযো মকারস্তমো ধৌর্লোকঃ পরমাত্মা জ্ঞানশক্তিঃ সামবেদীয়সবনং মহাদেবো দেবতেতি ॥ ৯ ॥
[কালাগ্নিরুদ্র উপনিষদ/৯ নং মন্ত্র]
🔸অর্থ — (ত্রিপুণ্ড্রের) তৃতীয় রেখা আহবনী অগ্নিরূপ, 'ম' কার রূপ, তমরূপ, দ্যুলোকরূপ, পরমাত্মা রূপ, জ্ঞানশক্তিরূপ, সামবেদ রূপ, তৃতীয় সবনরূপ তথা মহাদেবরূপ ॥ ৯
💠 দেখুন অবস্থা — এখানে বেদমন্ত্র নিজেই বলছেন যে অ-উ-ম সবই শিব নিজে। এবার কি বলবে এই বৈষ্ণবেরা — এখানে শিব স্ত্রী নাকি পুরুষ নাকি নপুংসক ? 😂
আসলে বৈষ্ণবদের যুক্তি যদি অনুসরণ করা হয়, তাহলে “বিষ্ণু = সূর্য” আর “শিব = চন্দ্র” – এগুলোকেও আক্ষরিক সত্য ধরে নিতে হয়।
এটা শিশুসুলভের মতো বোকামি।
আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো — যে লাইনটা ওরা উদ্ধৃত করছে, সেখানেই শিবকে “ঈশ্বরঃ” বলা হয়েছে, যা নিঃসন্দেহে পুংলিঙ্গ। সুতরাং অক্ষর “ম” স্ত্রীলিঙ্গ হলেও দেবতার নাম তো পুংলিঙ্গই। এত সরল বিষয়ও ওরা বুঝতে পারে না।
আরো মজার বিষয় হল — ঈশ্বর শব্দে রুদ্রদেবকে বোঝাচ্ছে, যদিও শৈব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রিদেবের ঊর্ধ্বে সদাশিব যা ভস্ম জাবাল উপনিষদের বলা হয়েছে। তথাপি ঈশ্বর শব্দে যখন রুদ্রকে বোঝাচ্ছে, তখন এতেই ঈশ্বর প্রকৃত পক্ষে কে ! তা স্পষ্ট। বৈষ্ণবদের দাবীতেই বৈষ্ণবেরা নিজেদের সিদ্ধান্ত খণ্ডন করে বসে আছেন, কারণ তারা শিবকে ঈশ্বর স্বীকার করে নিয়েছেন। 😂
নির্লজ্জ বেহায়া বৈষ্ণবেরা এদের আচার্য বেদান্তদেশিকের দোহাই দিয়ে বেদে থাকা নারায়ণ শব্দটা কে সর্বদা বিষ্ণুর নাম বলে দাবী করে, অথচ এদের ঐ দাবী অনেক দিন আগেই আমরা খণ্ডন করে বেদে থাকা নারায়ণ শব্দটা কে শিবের নাম বলে প্রমাণ করে দিয়েছি, বেহায়া বৈষ্ণবেরা সেই যুক্তির খণ্ডন দিতে পারেনি আজ পর্যন্ত, অথচ সেই নারায়ণ শব্দের ভরসায় পরমেশ্বর শিবের নামে অপব্যাখ্যা করে চলেছে। আরও একবার সেই নারায়ণ শব্দ কে বিষ্ণু বলে চালাবার খণ্ডন প্রবন্ধ টি দিলাম,
এইখানে ক্লিক করে দেখুন 👇
নির্লজ্জ বেহায়া বৈষ্ণবরা যদি নপুংসক না হয় তাহলে যেন আমাদের এই শৈবপক্ষ থেকে করা খণ্ডনের উত্তর না দিয়ে বেদের নারায়ণ শব্দকে বিষ্ণুর নাম বলে দাবী না করে। আর এই নারায়ণ নামের ভিত্তিতে যেন শৈবদের আরাধ্য পরমেশ্বর শিবের পরমত্ব খণ্ডন করবার দুঃসাহস না করে ।
🌺এবার আসি বেদে শিব নাকি বিষ্ণু নারীস্বরূপ।
✅কৃষ্ণ-যজুর্বেদের রুদ্রহৃদয় উপনিষদ থেকে 👇
রুদ্রাৎপ্রবর্ততে বীজং বীজযোনির্জনার্দনঃ ।..॥ ৭ ॥
[কৃষ্ণ-যজুর্বেদ/রুদ্রহৃদয় উপনিষদ/৭ নং মন্ত্র]
অর্থ — পরমেশ্বর ‘পরারুদ্র শিব’ই সকল কিছুর উৎপত্তির কারণরূপী বীজ, আর সেই কারণরূপী বীজ বপন করবার জন্য যোনীস্বরূপ (প্রকৃতি) হলেন জনার্দন নারায়ণ ।..॥ ৭ ॥
নিষ্কর্ষ - কৃষ্ণ-যজুর্বেদের শ্রুতি মন্ত্র দ্বারা বিষ্ণুকে সরাসরি যোনী অর্থাৎ প্রকৃতিস্বরূপা নারী বলা হয়েছে। সেই নারীরূপ প্রকৃতি যোনী বিষ্ণুতে বীজ বপন করেন পরমেশ্বর পররুদ্র (সদাশিব)।
⬛ শিবই একমাত্র পরম পুরুষ, সেটি বেদ মন্ত্র থেকে প্রমাণ করছি, দেখুন —
সর্বো বৈ রুদ্রঃ তস্মৈ রুদ্রায় নমো অস্তু ।
পুরুষো বৈ রুদ্রঃ সন্মহো নমো নমঃ ॥
(কৃষ্ণযজুর্বেদ/তৈত্তিরীয় আরণ্যক/১০ম প্রপাঠক/২৪ নং অনুবাক)
✅ তৈত্তিরীয় আরণ্যকে পরমেশ্বর শিবের সাকার দিব্যদেহের বর্ণনা করে বলা হয়েছে, উমা-অম্বিকার স্বামী হলেন শিব, অর্থাৎ শিব স্বামী নারী স্বরূপা দেবীর 👇
নমো হিরণ্যবাহবে হিরণ্যবর্ণায়
হিরণ্যরূপায় হিরণ্যপতয়ে অম্বিকাপতয়
উমাপতয়ে পশুপতয়ে নমো নমঃ॥
(কৃষ্ণ-যজুর্বেদ/তৈত্তিরীয় আরণ্যক/১০ম প্রপাঠক/২২ অনুবাক)
অর্থ — যার হিরণ্যবর্ণের অর্থাৎ সোনার মতো উজ্জ্বল বর্ণের আভাযুক্ত বাহু রয়েছে, যার দিব্যদেহের বর্ণ সোনার মতো উজ্জ্বল, যিনি সোনার মতো উজ্জ্বল রূপধারী, যিনি অম্বিকা অর্থাৎ শিবাদেবীর স্বামী সদাশিব, যিনি উমা অর্থাৎ পার্বতী দেবীর পতি, সেই পশুপতি পরমেশ্বর শিবের প্রতি নমস্কার ।
“পতি” শব্দের অর্থ “স্বামী” বা “প্রভু”— স্পষ্টতই পুংলিঙ্গ, এবং স্পষ্টতই দেবীর সঙ্গী বোঝায়।
✅ কৃষ্ণ-যজুর্বেদের রুদ্রহৃদয় উপনিষদ থেকে 👇
বামপার্শ্বে উমা দেবী বিষ্ণুঃ ..। যা উমা সা স্বয়ং বিষ্ণুর্য়ো..॥ ৪ ॥
[কৃষ্ণ-যজুর্বেদ/রুদ্রহৃদয় উপনিষদ/৩-৪ নং মন্ত্র]
অর্থ — (পরমেশ্বর শিবের) বাম পাশে পরমেশ্বরী উমা, শ্রীবিষ্ণু। যিনি উমা, তিনিই হলেন স্বয়ং বিষ্ণু ॥ ৪ ॥
ঋতং সত্যং পরং ব্রহ্ম পুরুষং কৃষ্ণপিঙ্গলম্ ।
ঊর্ব্বরেতং বিরূপাক্ষ বিশ্বরূপায় বৈ নমঃ ॥
(কৃষ্ণ-যজুর্বেদ/তৈত্তিরীয় আরণ্যক/১০ম প্রপাঠক/২৩ নং অনুবাক)
বেদাহমেতং পুরুষং মহান্তম্ আদিত্যবর্ণং তমসঃ পরস্তাৎ।
তমেব বিদিত্বাহতিমৃত্যুমেতি নান্যঃ পন্থা বিদ্যতেহয়নায় ॥ ৮
[কৃষ্ণ-যজুর্বেদ/শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ/৩ অধ্যায়/৮ নং শ্লোক]
অর্থ — (উপনিষদের ঋষি বলছেন) আমি সেই মহান পুরুষকে (পরমব্রহ্ম পুরুষ শিবকে) জেনেছি। তিনি অজ্ঞানের ঊর্ধ্বে, তিনি সাকার রূপে সূর্যের মতোই স্বপ্রকাশ হিরণ্যবর্ণ। সাধক যদি সেই পরমাত্মা শিবকে জানেন, তবে তিনি (স্বতই) মৃত্যুকে অতিক্রম করেন। অমরত্ব লাভ করবার অন্য কোন পথ নেই।
[বিঃদ্রঃ - শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের ঋষি স্বয়ং মহাপাশুপত শৈব পরম্পরার শ্বেতাশ্বতর ঋষি। তাই শ্বেতাশ্বতর ঋষির এই উপনিষদের বেদমন্ত্র সর্বদাই পরমেশ্বর বলতে প্রভু শিবকেই নিশ্চিত করে বোঝায়,
তাই এই উপনিষদের মন্ত্রকে অনধিকারীর মতো বিষ্ণুর নামে চিহ্নিত করে দেওয়া একপ্রকারের অল্পবুদ্ধিযুক্ত প্রাণীর মতোই কাজ, বেদমন্ত্রে বিকৃত অর্থ রচনা করার মতো এমন দুঃসাহস দেখিয়ে শেষমেশ নিজেদেরই মুখে বৈষ্ণবরা চুনকালি মাখিয়ে নিজেদের অজ্ঞতা সমাজের কাছে তুলে ধরছে তথাকথিত বৈষ্ণবেরা]
✅বেদে পরমেশ্বর শিব কে পুরুষের মধ্যে উত্তম পরম পুরুষ বলা হয়েছে -
যো বৈ বেদ মহাদেবং পরমং পুরুষোত্তমম্ ।..॥ ২২ ॥
[তথ্যসূত্র - ঋগ্বেদ সংহিতা/আশ্বলায়ন শাখা/১০ মণ্ডল/১৭১ সূক্ত/২২ নং শ্লোক]
এই তথাকথিত ‘বৈষ্ণব ব্যাখ্যা’ শুধু ভুলই নয়, এটি অজ্ঞতার এক চরম উদাহরণ। এতে গ্রন্থ-জ্ঞান শূন্য, দর্শনের গভীরতা শূন্য, বরং যখনই মুখ খুলতে চায় তখনই নিজের কথার মধ্যেই হোঁচট খায়। এটি যেন অন্ধকারে চোখ বন্ধ করে হাত-পা ছুঁড়ে মারার মতো, আর শেষে নিজেকেই আঘাত করা— ঠিক সেই রকম বুদ্ধিবৃত্তিক হাস্যকর অবস্থা।
_________________________________________________
সিদ্ধান্ত
বৈষ্ণবদের শাস্ত্রজ্ঞানহীনতা সহ ভণ্ডামি খণ্ডিত হবার সাথে সাথে সমগ্র শাস্ত্র প্রমাণের দ্বারা একমাত্র পরমেশ্বর প্রভু শিবই পরমপুরুষ এবং শ্রীবিষ্ণু প্রকৃতি যোনী নারীস্বরূপা বলে পুনরায় প্রমাণিত হল।
_________________________________________________
শৈব সনাতন ধর্ম সদা বিজয়তে 🚩
হর হর মহাদেব 🚩
✍️ সত্য উন্মোচনে — শ্রী নন্দীনাথ শৈব আচার্য জী
©️ কপিরাইট ও প্রচারে — International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT


মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন